সৌন্দর্য বাড়াতে প্রেমিকের কাছে টাকা না পেয়ে তাকে অপহরণের পর ১২ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করলেন এক যুবতী। প্রেমিকের মাথায় ঢেলে দেয়া হয় গরম পানি। গায়ে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের স্যালফোর্ডের এমন ঘটনা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আদালতের রায়ে ৩৩ বছরের ওই নারীকে ছয় বছরের বেশি সময় কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
তিন সন্তানের জননী ওই প্রেমিকার নাম সারাহ ডাভিস। আর তার প্রেমিকের নাম মার্ক কেনেডি। আরেক ব্যক্তির সহায়তায় মার্ককে অপরহণ করান সারাহ। এরপর চলে নির্যাতন। তাতেও যখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় মার্ক তখন শিশু নিপীড়নকারী হিসেবে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করেন সারাহ ও তার সহযোগী।
মার্ক পেশায় সিকিউরিটি গার্ড। উত্তরাধিকার সূত্রে টাকা পাবে জানতে পেরে নিজের ঠোঁট বড় করার জন্য মার্কের কাছে অর্থ দাবি করেন সারাহ। কিন্তু তা দিতে অস্বীকৃতি করায় মার্ক অপহরণ করান তিনি।
এরপর চলে নির্যাতন। তাতেও রাজি না হওয়ায় নিজের দুই বছরের মেয়েকে হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগে মার্কের স্বীকারোক্তি আদায়েও নির্যাতন চালানো হয়। লোহার রড দিয়ে মার্কের মাথায় আঘাত করা হয়। শিশু নিপীড়নের কথা স্বীকার না করলে গলা কেটে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলারও হুমকি দেন সারাহ।
এমনকি মার্ককে আটকে রেখে তার মায়ের কাছে টাকাও দাবি করেন সারাহ ও তার সহযোগী। মার্কের কাছে ১০ হাজার পাউন্ড দাবি করা হয়। কিন্তু ছাড়া পেয়ে সরাসরি পুলিশের কাছে চলে যান মার্ক। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সারাহকে ৬ বছর চার মাস ও তার সহযোগী ৪১ বছর বয়সী স্টিভেন উইনককে নয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।